(১) সফল ক্যারিয়ার গড়ার উপায়?

আপনি যখন শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকুরীর খোঁজ করছেন- তখন টের পেলেন যে, আপনার সিভিটি ঠিকমতন না লেখার ফলে কাঙ্খিত চাকুরিটি পাচ্ছেন না। কিংবা কর্পোরেটে ঢুকার পরে বুঝতে পারছেন না কিভাবে নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। কিংবা বর্তমান চাকুরিটি পরিবর্তন করে নতুন করে ক্যারিয়ার পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন জীবনে সফট স্কিল ও নেটওয়ার্ক কত গুরুত্বপূর্ন। লিংকডইন ব্যবহার করে কিভাবেই বা নিজের ব্রান্ড গড়ে তুলতে হবে?
তেমন অবস্থার মুখোমুখি যদি আপনি হোন, তবে ড. মশিউর রহমানের “সফল ক্যারিয়ার গড়ার উপায়” বইটি আপনাকে গাইড করবে। দেশ-বিদেশের চাকুরির অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লেখক তার অভিজ্ঞতার নির্জাসগুলি লিপিবদ্ধ করেছেন আপনাকে হারিয়ে যাওয়া পথ দেখাতে। তার কৌশলগুলি থেকে শিখে নিজের ক্যারিয়ার জীবনে প্রয়োগ করে – সফল হোন।
অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ঘরে বসেই কৌশলগুলি জেনে নিয়ে নিজের জীবনে প্রয়োগ করুন। একটি বইই পারে আপনার জীবনকে বদলে দিতে।
- বইয়ের নাম: সফল ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
- লেখক: ড. মশিউর রহমান
- প্রকাশক: সামুয়েল মল্লিক , আনন্দকানন পাবলিকেশন্স
- প্রকাশিত: বাংলা একাডেমি একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১, ঢাকা
অনলাইনে অর্ডার লিংক:
- https://www.rokomari.com/book/213856/sofol-career-gorar-upay
- https://bookshare.com.bd/product/sofol-career-gorar-upay/

প্রাপ্তিস্হানঃ
- হক লাইব্রেরী: গলি নং-১৯, বাবুপুরা মার্কেট, নীলক্ষেত, ঢাকা-১২০৫। যোগাযোগেঃ 01625459226, 01820157181
- মর্ডান লাইব্রেরী: ১৪৫, ইসলামিয়া মার্কেট, নীলক্ষেত, ঢাকা-১২০৫। যোগাযোগেঃ 01718265552, 01777380202
- গ্রন্থকলি: শপ-১৯২, নিউমার্কেট, ঢাকা-১২০৫। যোগাযোগেঃ 01723585619, 01873585619
(২) ডিজিটাল জামানায় পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং

সামনের বিশ্বে টিকে থাকার জন্য কৌশল “ধাপে ধাপে বইয়ের গাইডগুলি মেনে চলে আপনার একটি শক্তিশালি ও টেকসই পারসোনাল ব্র্যান্ড গড়ে তুলে সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলুন”
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ক্যারিয়ারে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব যেনো সবকিছু নয়; সামনের ধাপে আমরা যে চ্যালেঞ্জের মুখে প্রবেশ করতে যাচ্ছি – তাকে লেখক দারুণভাবে “ডিজিটাল জামানা” বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় আপনার ব্যাক্তিগত ও পেশাগত জীবনের সফলতা নির্ভর করছে- কিভাবে আপনি নিজেকে ব্র্যান্ডিং করছেন এবং সবার কাছে তুলে ধরছেন। গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন আপনার সম্বন্ধে কি তথ্য সবাইকে দেখাচ্ছে, অনলাইনে আপনার কোন লেখাগুলি আছে, কেমন ভিডিও পোস্ট করেছেন, অনলাইনে আপনাকে নিয়ে কি আলোচনা হচ্ছে- তা দিয়েই পরিমাপ করা হচ্ছে আপনার “যোগ্যতা”। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্রুয়েন্সার না হলেও, এই ডিজিটাল যুগে অন্যান্য সবার মতন আপনারও অনলাইনে আপনার পারসোনাল ব্র্যান্ডিং টা খুব জরুরী। শুধু মাত্র সোশ্যাল মিডিয়া নয়, পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইট, নিউজলেটার, লিংকডইন কিংবা ব্লগ – এই সবই এখন সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ছে। স্মার্টফোন ছাড়া যেমন আপনি চলতে পারবেন না, অনলাইনে আপনার ভালো ব্র্যান্ডিং ছাড়া আপনি এই নতুন যুগে সফল হতে পারবেন না। এই ডিজিটাল জামানায় পিছিয়ে না থেকে – নিজেকে মেলে ধরুন, নিজের ব্র্যান্ডটি সুন্দর করে গড়ে তুলুন। কিভাবে সেই কাজটি করতে পারবেন? – তা লেখক বেশ দক্ষতার সাথে সাবলিল ও সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর এসবই ধাপে ধাপে গাইডলাইন দিয়েছেন যেনো খুব সহজেই যে কেউই এই কাজগুলি করে নিজের পারসোনাল ব্র্যান্ডিং সুন্দর করে গড়ে তুলে সফল হতে পারবেন। প্রযুক্তিবিদ ও লেখক ড. মশিউর রহমান আমেরিকা, জাপান ও সিঙ্গাপুরে একজন সফল প্রযুক্তিবিদ হিসেবে গড়ে উঠতে যেয়ে নিজের পারসোনাল ব্র্যান্ডিং গড়ে তোলার দূর্লভ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এই বইয়ে।
সফলতা অর্জনে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। সামনের বিশ্বে টিকে থাকার জন্য প্রযুক্তিবিদ ও লেখক ড.মশিউর রহমান যে কৌশলগুলো উল্লেখ করেছেন তা ডিজিটাল জামানায় একজনের পারসোনাল ব্রান্ডিং গড়ে তোলার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে নিঃসন্দেহে!
https://www.rokomari.com/book/287675/digital-zamany-personal-branding

(৩) ডিজিটাল জামানায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
এই বইয়ের নাম শুনে হয়তো ভাবছেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কি খুব জটিল বিষয় নয়?” আসলে ঠিকই ভাবছেন—এআই আসলেই জটিল, তবে এই বইকে লেখা হয়েছে একেবারে সহজ ভাষায়, যাতে যে কেউ বুঝতে পারেন। আমাদের চারপাশে আজ এমন এক ডিজিটাল যুগ চলছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নানা কাজ সহজ করে দিচ্ছে। কিন্তু সেই সঙ্গে অনেকের মধ্যেই ভয় বা ভুল ধারণা রয়েছে—“এআই হয়তো আমাদের চাকরি কেড়ে নেবে,” “মানুষের ওপর দানবীয় নিয়ন্ত্রণ করবে,” ইত্যাদি।
এই বইতে লেখক তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, গবেষণা আর বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে দেখিয়েছেন—এআই কেবল ভীতি বা দুর্ভাবনার বিষয় নয়, বরং জীবনের নানা ক্ষেত্রে (স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, ব্যবসা, শিক্ষা, এমনকি সৃজনশীলতাতেও) অসাধারণভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারে। সহজ কিছু কৌশল আর সঠিক জ্ঞান থাকলে যে কেউ এআই ব্যবহার করে নিজের দক্ষতা বাড়াতে পারবেন, সময় সাশ্রয় করতে পারবেন, এমনকি নতুন পেশার সুযোগও খুঁজে পাবেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রবল আগ্রহ বা ভয়—যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন, এই বইটি পড়লে আপনি পাবেন এক বাস্তবসম্মত চিত্র। কিভাবে এআই কাজ করে, কীভাবে কমান্ড বা প্রম্পট দিতে হয়, কিংবা ভবিষ্যতে এর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও সুফল কী হতে পারে—এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে সহজ ভাষায়। সবচেয়ে বড় কথা, জটিল প্রযুক্তিগত আলোচনা না বুঝেও আপনি জানতে পারবেন কীভাবে নিজ কাজে, পড়াশোনায় বা ব্যক্তিগত জীবনে এআই কাজে লাগানো যায়।
সুতরাং যারা ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চান, ভয়ের দেয়াল ভেঙে নতুন সম্ভাবনা দেখার ইচ্ছা রাখেন—তাদের জন্যই এই বই। প্রবাসে থেকেও দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা থেকে লেখক যে অধ্যবসায়ের সঙ্গে এটি লিখেছেন, আশা করি সেটি আপনার জন্য হবে একটি অনন্য পথপ্রদর্শক।
বইটি অর্ডার করতে নিম্নের লিংকে ক্লিক করুন।
https://www.rokomari.com/book/455968/artificial-intelligence
বর্তমানে (২৯ জুলাই ২০২৫) বইটি “আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবটিক্স” বিভাগে তৃতীয় বেস্ট সেলার হিসাবে রয়েছে।

